সিরাজগঞ্জে এবার মৌসুমি সরিষা চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ সরিষা কাটা ও মাড়াই কাজ শেষের দিকে। বাজারে এ নতুন সরিষার দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৮৭ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কৃষকেরা এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর বেশি জমিতে এ চাষাবাদ করেছে। এ সরিষা চাষাবাদ বেশি হয়েছে সিরাজগঞ্জে চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবং কামারখন্দ, কাজিপুর, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ সরিষা চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে।
এ ছাড়াও যমুনা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলেও এ সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। এ সরিষার মধ্যে টরি-৭, বারি-১৪, বীনা-৯, বীনা-১৪ চাষাবাদ করা হয়েছে বেশি। তবে চরাঞ্চলে ইউরিক অ্যাসিড মুক্ত ক্যলানীয়া জাতের সরিষা চাষ করা হয়। গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এ মৌসুমি সরিষা কাটা ও মাড়াই কাজ শুরু করেছে কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই এ মাড়াই কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে আর এক সপ্তাহের মধ্যেই এ সরিষা কাটা ও মাড়াই কাজ শেষ হবে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, এবার সরিষা চাষাবাদে প্রণোদনা হিসাবে নির্ধারিত হারে বিজ ও সার প্রদান করেছে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ। এ চাষাবাদে কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শও দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনে উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের সরিষা হাট বাজারে উঠছে। বিভিন্ন জাতের প্রতিমণ সরিষা গড়ে এখন ২৭’শ থেকে ২৮’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ চাষাবাদে খচর কম ও এখন লাভ বেশি এবং বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বিশেষ করে অনেক কৃষকই এ সরিষা বিক্রি করে ঈদের খরচও করবে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, জেলায় গত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। এ চাষাবাদে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্য সার বীজ দেয়া হয়েছে এবং এ চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শও দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজার ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে হাসিও ফুটেছে।